ভিডিও এডিটিং

ভিডিও এডিটিং কি? ভিডিও এডিটিং হল সেই প্রক্রিয়া যেখানে একটি ভিডিও ফুটেজকে এডিটর পছন্দশীল ভাবে ঢেলে সাজিয়ে একটি পরিপূর্ণ গল্প ফুটিয়ে তোলে। এটি হচ্ছে একটি পোস্ট প্রোডাকশন কাজ। যেখানে ভিডিওর টাইটেল, গ্রাফিক্স, কালার কারেকশন, সাউন্ড মিক্সিং, ইফেক্ট সহ সব ধরণের কাজ করা হয়। এডিটিং এর বাংলা অর্থ সম্পাদনা। কোন কিছুকে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করাই এডিটিং। ভিডিও এডিটিং এর কিছু সফ্টওয়ার আছে আপনারা চাইলে সে গুলো ব্যাবহার করেও ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন। কম্পিউটার এর জন্য সফ্টওয়ার হলো- Adobe Premiere Pro Adobe After Effects Camtasia Filmora মোবাইল এর জন্য সফ্টওয়ার হলো- KineMaster Power Director Viva Video এডিটিং এর প্রয়োজনীয়তা কি? এডিটিং এর প্রয়োজনীয়তাসমূহ হলোঃ ক. অসুন্দরকে বাদ দেয়া বা আড়াল করা। খ. বিষয়বস্তুকে শিল্পগুণসম্পন্ন করে উপস্থাপন করা। গ. দর্শকদের বিরক্তির হাত থেকে বাঁচানো। ঘ. বক্তব্য বা মতামতকে সূচারু ও সুন্দরভাবে নান্দনিক উপস্থাপন। নন লিনিয়ার এডিটিং কাজঃ শুটিং এর সময় যে ফুটেজ নেয়া হয় তাতে এমন কোন গল্প তৈরী হয় না। যেটা এডিট প্যানেলে গল্প তৈারী সম্ভব এবং আনুসাংগিক আরো অনেক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রডাকশনটি দর্শক প্রিয় গল্প তৈরী করে তোলা। অপ্রয়োজনীয় ফুটেজঃ ভিডিও এডিটিং এর একটি অপরিহার্য কাজ হচ্ছে ভিডিও ফুটেজের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলোকে বাদ দেয়া। ভিডিওতে অনেক ধরণের ভুল শট থাকতে পারে যা অপ্রয়োজনীয়, তাই সেগুলো বাদ দিয়ে এডিটিং সুন্দর করা সম্ভব। ভাল ফুটেজঃ ভিডিও শুট করার পর ভাল এবং দরকারি ফুটেজগুলোকে আলাদা করে রাখা। তার জন্য আপনাকে আগেই ভেবে নিতে হবে আপনি গল্পের সাথে মিলিয়ে কি কি শট ব্যাবহার করবেন। এরপর ফুটেজগুলোকে প্রয়োজন অনুসারে এডিটিং এর জন্য সাজিয়ে রাখা হয়। গ্রাফিক্স ও মিউজিকঃ ভিডিওতে গ্রাফিক্স ও মিউজিক এড করলে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। গ্রাফিক্স ও মিউজিক যোগ করলে ভিডিওকে আরও বেশি আকর্ষনীয় করে তোলা যায় যার ফলে দর্শক আকৃস্ট হয়। সাউন্ড ইফেক্ট ও ভিজুয়্যাল ইফেক্টঃ ফুটেজে কি ধরণের ইফেক্ট ব্যাবহার করা উচিত একজন ভালো ভিডিও এডিটর সেই সর্ম্পকে জানে,বোঝে। ভিডিওকে আরও বেশি প্রানবন্ত এবং আকর্ষনীয় করে তোলতে ভিডিওর সঙ্গে সাউন্ড ইফেক্ট এবং বিভিন্ন ভিজুয়াল ইফেক্ট ব্যাবহার করতে হয়। মার্কেটে ভিডিও এডিটিং এর ভ্যালু কেমন এবং ভবিষ্যৎ কি? আপনি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে পারলে কাজ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। কারন দেশের ডিজিটাল মিডিয়ায় দক্ষ ভিডিও এডিটরের চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই। এছাড়া আপনি দেশের বাইরে অনেক অনেক টিভি চ্যানেল আছে যেখানে কাজ করতে পারবেন। প্রোডাকশন বিজনেসে দক্ষ ভিডিও এডিটরের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। নাটক বা মুভি এডিটর হিসেবে কখনই আপনার কাজের অভাব হবে না। আপনি একজন ট্রেইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। অন্যদিকে মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে সার্ভিস সেল দিতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং করে কত টাকা আয় করা যায়? ভিডিও এডিটিং অনেক দামী আর কুল প্রফেশন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনি শুরুর দিকে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পাবেন, আপনার পারফর্মেন্সের উপর নির্ভর করে ধীরে ধীরে বেতন বাড়তে থাকবে। অনলাইন ইনকাম কি? অনলাইন ইনকাম করার উপায় এছাড়া আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস সেল দিতে পারবেন। ফাইভারে ভিডিও এডিটিং নিয়ে অনেক গিগ পাবেন। সে গিগ গুলোর সেল দেখলেই আপনি বুজতে পারবেন আসলে এই সেক্টর কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আপওয়ার্কে প্রতিদিন অনেক জব পোস্ট হয় ভিডিও এডিটিং নিয়ে। আপনি সেখানে কাজে বিড করে অনেক ভালো একটা এমাউন্ট জেনারেট করতে পারবেন। আজকাল ইউটিউব অনেক পপুলার একটি অনলাইন ইনকাম সোর্স। আপনার ভিডিও এডিটিং স্কিল কাজে লাগিয়ে সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করে অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং একটি এভারগ্রীন স্কিল সেক্টর। এখানে কাজ শিখে আপনাকে বসে থাকতে হবে না। প্রতি মাসে ভিডিও এডিটিং করে অনেক ভালো মানের একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। আমাদের ভিডিও এডিটিং কোর্স এর বিস্তারিতঃ এটি ১ মাসের কোর্স। প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে ক্লাস থাকবে। প্রতিটি ক্লাসের সময়কাল ২ ঘন্টা । ক্লাসটি সম্পুর্ন Online এ Zoom সফটওয়্যারের মাধ্যমে হবে। Class শেষ এ class এর ভিডিও দেওয়া হবে। কোর্স ফি ভিডিও এডিটিং কোর্সটির রেগুলার ফি ১০০০০ টাকা , এই মুহূর্তে ৯০% স্কলারশিপ অর্থাৎ ১০০০ টাকায় এই কোর্সটি করতে পারবেন । ভিডিও এডিটিং কোর্সে যা যা শেখানো হবে *Video Editing (Adobe Premiere Pro) *Audio Editing (Audacity) *Audio Effect *Video Effect *Color correction *Green Screen *Photoshop Basic *Intro Create *Video Editing Marketplace *Youtube Marketing *Google Adsence And More আমাদের কাছে কোর্স করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে * আইটি সেক্টর এ ক্যারিয়ার গড়ার পরামর্শ। * ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। * ফ্রিল্যান্সিং কনসালটেন্সি। * কাজ পাওয়ার জন্য সকল সহয়তা আমরা আপনাকে করবো। * আমাদের আছে ২৪/৭ অনলাইন সাপোর্ট ব্যবস্থা। * লাইফটাইম সাপোর্ট পাবেন। * ব্যাকআপ ক্লাস এর বাবস্থা আছে। * প্রত্যেক ক্লাসের রেকর্ড ভিডিও দেয়া হবে। * কোর্স শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। Video Editing এর কয়েকটি মার্কেট প্লেস এর নামঃ fiverr.com freelancer.com ইউটিউব মার্কেটিং বা ভিডিও মার্কেটিং কিভাবে করবো? ইউটিউব কে ব্যবহার করে কোন পন্য, সেবা বা বিজনেসের ব্র্যান্ডইং করাই হলো ইউটিউব মার্কেটিং। তবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে, তার এড থেকে প্রাপ্ত আয়কেও অনেকে ইউটিউব মার্কেটিং হিসেবে বিবেচনা করে। অবশ্য আমরা আজকে দুটো বিষয়ই আলোচনা করবো। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কথা বললে ফেসবুকের পরই ইউটিউব মার্কেটিং স্থান পায়। ইউটিউব সম্পর্কে জেনে নিন কিছু তথ্য- বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট হলো ইউটিউব। ১৯০ কোটি একটিভ ব্যবহারকারীর পদচারণা থাকে ইউটিউবে। জানলে অবাক হবেন, প্রতিদিন এক বিলিয়ন (১০০ কোটি ) ঘন্টা ভিডিও দেখা হয় ইউটিউবে। ইউটিউব (গুগলের মালিকানাধীন) গুগলের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন । ইউটিউব থেকে আয়ের উৎস কি? নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয় করাঃ আপনার কোম্পানির প্রডাক্ট বা সার্ভিসের প্রমোশন করতে পারেন তারপর ওয়েবসাইটে অর্ডার নিতে পারেন। ইউটিউব ভিডিওতে এড দিয়ে আয় করাঃ গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার চ্যানেলটি রেজিস্টার করতে হবে। ইউটিওব বিজ্ঞাপনের আয়ের সর্বোচ্চ ৬৮% অর্থ আপনি পেতে পারেন। (শর্ত প্রযোজ্য) ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করাঃ অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয় করে তা হতে কমিশন অর্জন করাকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আয় বলা হয়। ইউটিউব থেকে আয়ের জন্য কি করতে হবে? প্রথমেই Google AdSense এ আবেদন করতে হবে অ্যাডসেন্সের জন্য। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিতে হবে। ২০১৮ সালের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি ইউটিউব চ্যানেলকে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যেমন – ১ বছরের মধ্যে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াচ ভিউ অবশ্যই হতে হবে। আপনি যে জি-মেইল দিয়ে অ্যাডসেন্স এ এপ্লাই করবেন সেই জি-মেইলে আপনার বয়স নুন্যতম ১৮ হতে হবে। প্রত্যেকটি চ্যানেলের একটি চ্যানেল আইকন থাকতে হবে। যদি আপনার করা ভিডিওগুলি বানিজ্যিক ভাবে সফল হয় তাহলে অবশ্যই YouTube নিজে থেকেই পার্টনার করে নেয়। ইউটিউবের ইউজার কারা? ভিজিটর (শুধুমাত্র ভিডিও দেখে থাকে) ইউটিউবার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর (যারা ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি (যারা ইউটিউবে পন্য বা সেবার জন্য পেইড প্রমোশন করে থাকে) ইউটিউব মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ? আর্টিকেল পড়ার চেয়ে ভিডিও দেখতে এখন গ্রাহকরা আগ্রহী। অনেক বিষয় আছে যেগুলো আর্টিকেলে বুঝানো সম্ভব হয় না, সেগুলো সহজেই ভিডিওর মাধ্যমে বুঝানো যায়। আর্টিকেল শুধু যারা পড়তে পারে তাদের জন্য কিন্ত ভিডিও নিরক্ষর মানুষ বা বাচ্চারাও দেখতে পারে। ছবি তুলে একটা পন্যকে যতটা আকর্ষণীয় করা যার ভিডিও করে তার চেয়ে ভালভাবে, বিভিন্ন আঙ্গিকে পন্যকে উপস্থাপন করা যায়। ভিডিও মার্কেটিং বা ইউটিউব মার্কেটিং মোটেও ব্যয়বহুল না, ফলে সব ধরণের মানুষই ভিডিও মার্কেটিং ব্যবহার করতে পারে। যেহেতু গুগলের পরই দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন হলো ইউটিউব, ফলে তা সব রকমের কাস্টমারের জন্য একটি উপযোগী মার্কেটপ্লেস। ইউটিউব মার্কেটিং করতে হলে কি প্রয়োজন? নিজের ব্র্যান্ড বা ব্যবসায়ের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা ইউটিউব এর এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করা ইউটিউব চ্যানেলকে মার্কেটিং করা ও সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো ইউটিউব এর পলিসি ও এলগোরিদম জানা ইউটিউব মার্কেটিং আসলে কি ইউটিউব হচ্ছে একটা ভিডিও শেয়ারিং সাইট এবং পৃথিবীর সকল ভিডিও শেয়ার সাইটের মধ্যে ইউটিউব জনপ্রিয় এবং ইউজার বান্ধব। ইউটিউবে ভিজিটর অনেক বেশী। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড এবং শেয়ারের মাধ্যমে কোন পণ্যের বা সেবার পরিচিতি ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং। এক কথায়, ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবা’র মার্কেটিং করাকেই ইউটিউব মার্কেটিং বলে। কেন করবেন ইউটিউব মার্কেটিং? ইউটিউব মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত ট্রাফিক পাওয়া যায় যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য অনেক সময়ের ব্যপার। ইউটিউবে এসইও রেংকিং ড্রপ হয়না। কোন প্রোডাক্টের ডিজাইন, ব্যবহারবিধি, দেখতে কেমন বা উতপাদনকারী, বিভিন্ন তথ্য একজন ক্রেতা ইউটিউব থেকে সহজেই দেখে নিতে পারেন। তারপরই উক্ত ক্রেতা সিদ্ধান্ত নেন প্রোডাক্টটি ক্রয়ের জন্য। ইউটিউব হচ্ছে ক্রেতাদের ঘাটি। কি কি লাগবে? একটি ইউটিউব একাউন্ট একটি মোটামোটি ভালো মানের কম্পিউটার ওয়েব ক্যাম ডিজাটাল ক্যামেরা, আপনার মুঠোফোন টি ও কাজে লাগাতে পারেন, ভালো ক্যাম্যরা লাগবে ইন্টারনেট কানেকশন ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার কিছু ভাল বন্ধু যারা নিঃস্বার্থভাবে আপনার সাথে কাজ করবে ইউটিউবে একাউন্ট খোলা একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন। নিজের সঠিক নাম, বয়স এবং ফোন নম্বর দিয়ে। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করুন। সেখানে ‘Create Channel’ পাবেন। তার মাধ্যমে নিজের চ্যানেল তৈরী করুন। একটা ভালো প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অ্যাড করুন। এবং আপনার নিজের ক্যামেরায় তৈরী যে কোনো ফুটেজ আপলোড করুন। কিভাবে অর্থ উপর্জন করা সম্ভব? ইউটিউব সাধারণত ভিডিও দেখার একটি ওয়েবসাইট। প্রতিনিয়ত এখানে অনেক ভিডিও আপলোড করা হয়। কেউ হয়তো তার বা তার ব্যান্ড এর গানের ভিডিও আপলোড করেন তো কেউ আবার তার কোম্পানির কোন ভিডিও। আবার কেউ আপলোড করেন মজার মজার ফানি ভিডিও তো কেউ শিক্ষণীয় কিছু। ভিডিও দেখার সময় যে বিজ্ঞাপন দেখা যায় সেই বিজ্ঞাপনের জন্যই আসলে ইনকামটি করা সম্ভব। অবশ্যই সব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন থাকে না। যদি কেউ তার চ্যানেল বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অনুমোদন দেয় তবেই বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। আর সেই বিজ্ঞাপন থেকে গুগল এর আয় হওয়া একটি অংশ চ্যানেল এর মালিককে দেয়া হয়। এটি প্রধানত গুগল অ্যাডসেন্স (Google AdSense) এর একটি অংশবিশেষ। কত টাকা উপার্জন সম্ভব ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ভিউ। যে ভিডিও যত বেশী ভিউ হবে সে ভিডিও তত বেশী অর্থ উপার্জন করবে। তবে মোটামুটি ভাবে প্রতি হাজার মনোটাইজ ভিউতে ১ থেকে ৫ ডলার অবধি আয় সম্ভব। কবে থেকে টাকা আয় সম্ভব অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান অ্যাপ্রুভড হতে দুই থেকে তিন দিন লাগে। একবার অ্যাপ্রুভড হয়ে গেলেই আপনার আয় শুরু। টাকা কবে থেকে পাবেন ন্যূনতম ইনকাম ১০০ ডলার হলে আপনার বাড়িতে গুগল থেকে একটি চিঠি আসবে তাতে একটি কোড নম্বর থাকবে সেই কোড নম্বর দিয়ে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিতে হবে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নেম, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নেম, সুইফট কোড ইত্যাদি। আপনার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট-এ আপনার নাম এবং ঠিকানা আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের নামের সাথে মিল থাকতে হবে, নইলে এই টাকা আপনি পাবেন না। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেই নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেখানে যে অ্যাড্রেস দেওয়া আছে সেটাই ব্যবহার করবেন। কত তাড়াতাড়ি টাকা আসবে? ইউটিউব থেকে টাকা পেতে আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। হতে পারে আপনার প্রথম টাকা পেতে পেতে এক বছর বা তার-ও বেশি লেগে গেল কিন্তু একবার টাকা আসা শুরু করলে এবং আপনার ভিডিও প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার ভিউ দিতে পারলে আপনাকে আর কোনো চাকরী করতে হবে না। সকলেই কি টাকা আয় করতে পারে? আঠারো বছরের যে কেউ তার নিজের মৌলিক ভিডিও দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে। কিন্তু কার ভিডিও কত জনপ্রিয় হবে সেটা নির্ভর করছে কিছুটা আপনার দক্ষতা এবং আপনার ভাগ্যের উপর। প্রচুর মানুষ যারা নিজের পোষা বিড়ালের ছবি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছে আবার অনেকে আছে যারা পয়সা খরচ করে নিজেরা নানা রকম ভিডিও বানিয়েও এক ডলার আয় করতে পারছে না। তাই সঠিক ভাবে যদি আপনি আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা অসম্ভব নয়।

কোর্সটি করুন